Umar Bin Khattab
2 min readDec 28, 2018

যে সকল কারণে গণতন্ত্রকে একটি শিরকি ও কুফরি মতবাদ বলা হয়

.

গণতন্ত্রের মূলনীতি সমূহ সুস্পষ্টভাবে শিরক এবং কুফরি হিসাবে প্রতীয়মান হয়। যেমনঃ

.

১) সার্বভৌমত্বের ক্ষেত্রেঃ গণতন্ত্রের মূল কথা জনগণের সার্বভৌমত্ব। অর্থাৎ সকল ক্ষমতার মালিক, সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ। এ কথা নিঃসন্দেহে শিরক। কেননা আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ রাজত্বে তাঁর কোন শরীক নেই। [সূরা বনী ইসরাঈল, আয়াত ১১১]

.

তিনি আরো বলেনঃ তুমি বলো, হে আল্লাহ! রাজত্বের মালিক, আপনি যাকে চান রাজত্ব দান করেন, আর যার থেকে চান রাজত্ব কেড়ে নেন। [সূরা আলে ইমরান, আয়াত ২৬]

.

অন্যত্র তিনি বলেনঃ বরকতময় তিনি যার হাতে সর্বময় কর্তৃত্ব। আর তিনি সব কিছুর উপর সর্বশক্তিমান। [সূরা মূলক, আয়াত ১]

.

মহান আল্লাহ আরো বলেনঃ যার হাতে রয়েছে নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব। যিনি কোন সন্তান গ্রহণ করেন না এবং তাঁর রাজত্বে কোন শরীক নেই। [সূরা ফুরক্বান, আয়াত ২]

.

আল্লাহর বাণী থেকে বুঝা গেল যে, আল্লাহ তা’আলাই হলেন সকল ক্ষমতার মালিক। মানুষকে ক্ষমতার মালিক বা উৎস বানানো তাঁর সাথে শরীক স্থাপনের শামিল, যা স্পষ্ট শিরক।

.

২) আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রেঃ গণতন্ত্রে আইন-বিধান রচনার চূড়ান্ত ক্ষমতা অর্পণ করা হয় পার্লামেন্ট সদস্যদের উপর। সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্য যা বলবে, যে বিষয়ে সম্মত হবে, তাই হবে দেশের সর্বোচ্চ আইন, যার বিরোধীতা করা আইনত অপরাধ। গণতন্ত্রে সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে কুরআন সুন্নাহর উপরে স্থান দেওয়া হয়। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে তারা কুরআন সুন্নাহ বিরোধী আইন তৈরী করতে পারে, এমনকি আল্লাহর আইনকে বাতিলও করতে পারে।

.

উদাহরণ স্বরূপ বলা যায়, পতিতাবৃত্তির লাইসেন্স দেওয়া, মদের লাইসেন্স দেওয়া, সুদের বৈধতা দেওয়া, ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে নিষিদ্ধ করা, ১৬ বছর বয়স পারস্পরিক সম্মতিতে ব্যভিচার করলে তার বৈধতা দেওয়া, স্বামীর অনুমতিতে স্ত্রী অন্য পুরুষের সাথে ব্যভিচার করলে তার বৈধতা দেওয়া, যাত্রা সিনেমা হলে প্রকাশ্যে বেহায়াপনা ও অশ্লীলতার চর্চাকে অনুমোদন দেওয়া ইত্যাদি। এ ধরনের নীতিমালা নিঃসন্দেহে আল্লাহর রূবুবিয়্যাতের (ক্ষমতা ও কর্তৃত্বের) ক্ষেত্রে শিরক এবং স্পষ্ট কুফরি। কেননা আল্লাহ বলেনঃ শুনে রাখো, সৃষ্টি যার হুকুম চলবে তার। [সূরা আরাফ, আয়াত ৫৪]

.

তিনি আরো বলেনঃ আল্লাহ ব্যতীত কারো বিধান দেওয়ার ক্ষমতা নেই। তিনি আদেশ দিয়েছেন যে, তাঁকে ব্যতীত তোমরা অন্য কারো ইবাদত করো না। এটিই সরল পথ। কিন্তু অধিকাংশ লোক তা জানে না। [সূরা ইউসুফ, আয়াত ৪০]

.

তিনি আরো বলেনঃ আল্লাহ নির্দেশ দেন। তাঁর নির্দেশকে পিছনে নিক্ষেপ করার কেউ নেই। তিনি দ্রুত হিসাব গ্রহণকারী। [সূরা রাদ, আয়াত ৪১]

.

৩) বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রেঃ গণতন্ত্রে যে কোন মতবিরোধ বা বিতর্কের চূড়ান্ত মীমাংসাকারী বানানো হয় সংবিধান ও তার ধারা সমূহ এবং পার্লামেন্টের সংখ্যাগরিষ্ঠতাকে। এটি একটি স্পষ্ট কুফরি। মহান আল্লাহ বলেনঃ অতঃপর যদি কোন বিষয়ে তোমরা বিতন্ডা করো, তাহলে বিষয়টি আল্লাহ ও রাসূলের দিকে ফিরিয়ে দাও। যদি তোমরা আল্লাহ ও আখেরাতের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। এটিই কল্যাণকর ও পরিণতির দিক দিয়ে সর্বোত্তম। [সূরা নিসা, আয়াত ৫৯]

.

তিনি আরো বলেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে ফায়সালা দিলে কোন মুমিন পুরুষ বা নারীর সে বিষয়ে নিজস্ব কোন ফায়সালা দেওয়ার এখতিয়ার নেই। যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্যতা করবে, সে ব্যক্তি স্পষ্ট ভ্রান্তিতে পতিত হবে। [সূরা আহযাব, আয়াত ৩৬]

Sign up to discover human stories that deepen your understanding of the world.

Free

Distraction-free reading. No ads.

Organize your knowledge with lists and highlights.

Tell your story. Find your audience.

Membership

Read member-only stories

Support writers you read most

Earn money for your writing

Listen to audio narrations

Read offline with the Medium app

Responses (1)

Write a response